প্রভু খড়্গেশ্বর , খড়্গপুর সহর
করলেন মনোহর , থেকে খড়্গপুরে ।
বাবার মহিম অপার , করতে খড়্গপুর প্রচার ,
দিলেন কার্যের ভার বি.এন.আরে ধরে ।।
....
যেই স্থানে পূর্বেব ছিল শালবন ,
সেখানে করলেন পুষ্পের কানন ,
জাতি যুথী , আদি পুষ্প অগণন ,
গন্ধে প্রাণ মন আনন্দিত করে ।।
....
পর্ণের কুটির ছিলনা যেখানে ,
দোতলা তেতলা করালেন সেখান
তথা দিবা রাত্রি জ্বলছে বিজলি বাতি ,
ইলেকট্রিক ফান ঘুরছে প্রতি ঘরে ।।
....
কালকাটি গ্রামে বাস ছিল মজার ,
তুলে নিয়ে তথা করলেন গোলবাজার ,
....
লক্ষণ চন্দ্র ভনে , স্টেশন আদি যথা ,
পঁয়ত্রিশ শত বিঘা মালিক ছিলেন পিতা ,
বি . এন . আর গ্রহীতা , পিতা হয়ে দাতা ,
বিশ হাজার টাকায় দিলেন বিক্রি করে ।। "
শেষের চার লাইন থেকে আক্ষেপ ঝরে পড়ছে বোঝা গেল । পিতৃপুরুষের জমির ওপর বসল জংশন ।
বন কেটে স্টিলের চাদরে মোড়া হল খড়্গপুর কে ।
বি.এন.আর এর রেলনগরী তৈরির সময়ের একগুচ্ছ দৃশ্য রয়েছে কবিতায় ।
নীচের প্রথম ছবিটি 1910 সালের খড়গপুর স্টেশন ।।
💠।। খড়গপুর দমদমা: দুটি টিলার কথা ।।💠
1898 সালের December এ রেলের Map এ Junction station হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে খড়গপুর।
কিন্তু, তার আগে ??
তার আগে অর্থাৎ steel এর পাত বসানোর আগে , যখন B.N.R এর দুজন Mechanical Engineer রিচার্ডস ও ওয়াটসন সাহেব এর পাশাপাশি তাঁবু পড়ল দমদমার কাছে?
দমদমা কথার অর্থ টিলা বা উঁচু ঢিপি ।
দুটি পাশাপাশি টিলা ছিল সেই সময় এই জায়গাটিতে তাই নাম দমদমা ।
চল্লিশ ফুট মতো উচ্চতা ।
ছোটনাগপুরের শেষ চিহ্ন। এখান থেকে ভূপ্রকৃতি রুক্ষ লালমাটি ছেড়ে উর্বর হতে শুরু হয়েছে হাওড়ার দিকে এগিয়ে গেলে ।
দমদমা জায়গাটি বনজঙ্গলে ঘেরা ছিল ।
তবে টিলা দুটোর ওপর গাছপালা বিশেষ ছিল না ।
ইঁদা নামে জায়গাটিতে বনের ভেতর ছিল খড়গেশ্বরের পুরোনো ভাঙা মন্দিরটি । তাই টিলা দুটোর সাথে একটি ধর্মীয় আবেগ জড়িয়ে ছিল মানুষের মধ্যে।
রিচার্ডস এর পরিকল্পনায় খড়গপুর দমদমা ও সংলগ্ন জায়গাটিতে BNR এর জংশন station , workshop , Railway কলোনি সমেত একটি রেলনগরী পত্তনের কাজ শুরু হল ।
হারাধন চক্রবর্তী দিনক্ষণ ঠিক করে দিলেন ।
ডিনামাইট দিয়ে ফাটিয়ে দেওয়া হল টিলার মাথা ।
পরিবর্তন হল এলাকার ভূপ্রকৃতি । নির্জন পরিবেশ বদলে গিয়ে যাত্রীর ঢল নামল এ দেশে ।।
....
C: Shri Sutanu Ghosh
click here#BanglaGolpo Series